ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উৎপাত
অনুধ্যান প্রতিবেদক
অনুধ্যান
প্রকাশিত : ০৯:১৭ পিএম, ২ মার্চ ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উৎপাত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও দিন দিন তাদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে খেলার মাঠÑ সর্বত্রই বহিরাগতদের অবাধ চলাফেরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, চুরিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা এমনকি দিনেও বহিরাগতদের দ্বারা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই নয়; আবাসিক হলগুলোতেও শিক্ষার্থীরা তাদের উৎপাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বহিরাগতরা রুমের চাবি সংগ্রহ করে ল্যাপটপ, মোবাইলসহ টাকা-পয়সা চুরি করে নেয়। মন্নুজান হলে ২০১৩ সালে ল্যাপটপ চুরির দায়ে ধরাপড়া মেয়েটি ছিল বহিরাগত। রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসরেফা আরমিন বলেন, ‘ক্লাস করতে যাওয়ার আগে লকারে তালা দিয়ে যাই, তারপরও ভয়ে থাকি।’
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তারেক রহমান অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে যেসব খেলার মাঠ রয়েছে বহিরাগতরা এসে সেগুলোতে স্ট্যাম্প পুঁতে রেখে যায়। শিক্ষাথীঁরা কিছু বলতে গেলে তারা ঝামেলা বাঁধায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ পায় না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাহমিদ সৌরভ বলেন, ‘বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন ধরনের সভা ও মিটিং করে এবং অনেক সময় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে ঝামেলা বাঁধিয়ে মারামারি পর্যন্ত করে। এতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আতিকুর রহমান বলেন, ‘বহিরাগতরা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠগুলো দখল করে খেলছে এরকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নি। তবে অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আর হলে বহিরাগতদের আসা-যাওয়া দেখার দায়িত্ব হল কর্তৃপক্ষের। এরপরও হলে কোনো সমস্যা হলে আমরা সেগুলো সমাধান করতে যাই।’
মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ তানজিম জোহরা হাবিব বলেন, ‘হলে বহিরাগতদের আগমনের ব্যাপারে অনেক নিয়ম রয়েছে। ছাত্রীদের মা আসলে তিনদিন এবং অন্যান্যরা একদিন হলে থাকতে পারেন। তবে এটার জন্য দরখাস্ত লিখে খাতায় এন্ট্রি করে রাখা হয়। আর ছাত্রীদের বাইরের পরিচিত কেউ আসলে তাকে গেস্টরুমে বসানো হয়। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড জমা রেখে হলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।’
রহমতুন্নেসা হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক ড. হাবিবা হায়দার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান হলে সেদিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র চেক করে প্রবেশ করানো হয়। কিন্তু অন্যান্য দিনগুলোতে এই রকম ব্যবস্থা থাকে না।’